মাসিক না হলে কি বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে - মাসিক না হলে ঔষধ
মাসিক না হলে কি বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে মাসিক না হলে ঔষধ দ্রুত মাসিক হওয়ার উপায়, দুই মাস মাসিক না হওয়ার কারণ, পিরিয়ডের লক্ষণ বনাম গর্ভাবস্থার লক্ষণ, মাসিক বন্ধ হওয়ার লক্ষণ, সহবাসের পর মাসিক না হলে করণীয় কি এরকম আরো অনেক কিছু বিষয়ে জানার জন্য আজকে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকুন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ মাসিক না হলে কি বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে - মাসিক না হলে ঔষধ
- মাসিক না হলে কি বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে
- দ্রুত মাসিক হওয়ার উপায়
- দুই মাস মাসিক না হওয়ার কারণ
- পিরিয়ডের লক্ষণ বনাম গর্ভাবস্থার লক্ষণ
- মাসিক বন্ধ হওয়ার লক্ষণ
- সহবাসের পর মাসিক না হলে করণীয়
- মাসিক না হলে ঔষধ - মাসিক হওয়ার ট্যাবলেট এর নাম
- মাসিক না হলে কি সমস্যা হয়
- মাসিক বন্ধ হলে কি করতে হবে
- মাসিক না হলে কি বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে - মাসিক না হলে ঔষধঃ শেষ কথা
মাসিক না হলে কি বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে
মাসিক না হলে কি বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এ বিষয়টি অনেক মহিলারা জানতে চেয়ে থাকেন।কারণ অনেকেই মনে করেন যে যদি মাসিক না হয় তাহলে এটা বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা। হ্যাঁ যদি কোন বিবাহিত মহিলার বেশি সময় ধরে মাসিক না হয় তাহলে এটি বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তবে একেবারে বলা যাবে না যে মাসিক না হলে শুধু বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনাই থাকে আরো বিভিন্ন কারণেও মাসিক বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
পুরুষের শুক্রাণু এবং মেয়েদের ডিম্বাণু যখন এক জায়গায় হয় তখন মেয়েরা গর্ভধারণ করে থাকে আর মেয়েরা যখন গর্ভধারণ করে তখন মাসিক হয় না। গর্ভধারণের পরে থেকে সন্তান হওয়া পর্যন্ত মাসিক বন্ধ হয়ে যায়। কারণ মাসিকের রক্ত দিয়ে বাচ্চা বড় হতে থাকে। তাই বলা যায় কোন বিবাহিত মহিলার যদি অনেকদিন ধরে অথবা দুই মাস ধরে মাসিক না হয় তাহলে এটি বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা অর্থাৎ গর্ভধারণের সম্ভাবনা থাকে।
আরো পড়ুনঃ সাত দিনে মোটা হওয়ার উপায় - মোটা হওয়ার ঔষধের নাম
তবে এমনটা যদি হয় তাহলে ভালোভাবে নিশ্চিত হওয়ার জন্য ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন এবং পরীক্ষা করে দেখা প্রয়োজন যে মেয়েটি গর্ভধারণ করেছে কিনা। আশা করছি বুঝতে পারলেন মাসিক না হলে কি বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে কিনা।
দ্রুত মাসিক হওয়ার উপায়
মাসিক না হলে কি বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে কিনা তা তো জানতে পারলেন কিন্তু দ্রুত মাসিক হওয়ার উপায় আপনি কি জানেন অনেকের মাসিক হতে চায়না দ্রুত তাই তাদের জানা প্রয়োজন দ্রুত মাসিক হওয়ার উপায়। অনেকে ঔষধ খাওয়ার মাধ্যমে দ্রুত মাসিক হওয়াতে চান কিন্তু এটা একেবারে ভুল আপনি কিছু ঘরোয়া উপায়ে দ্রুত মাসিক হওয়াতে পারেন দ্রুত মাসিক হওয়ার উপায় গুলো হলোঃ
- আদা চা
- ভিটামিন সি জাতীয় খাবার
- পেঁপে
- নিয়মিত সহবাস
- চিন্তামুক্ত থাকা
- ঘৃতকুমারী
- গরম পানির সেক
আদা চা -- আপনি যদি দ্রুত মাসিক হওয়াতে চান তাহলে প্রতিদিন আদা চা
খেতে পারেন। প্রতিদিন দুই কাপ চা খাবেন এবং চায়ের সাথে আদা কুচি করে কেটে
দিবেন এবং সেই আদা চা যদি নিয়মিত কয়েকদিন খেতে পারেন তাহলে খুব দ্রুত মাসিক
হবে।
ভিটামিন সি জাতীয় খাবার -- দ্রুত মাসিক হওয়ার জন্য সবচেয়ে বেশি
প্রয়োজনীয় হচ্ছে ভিটামিন জাতীয় খাবার খাওয়া। ভিটামিন জাতীয় খাবার
শরীরের বিভিন্ন রকম রাসায়নিক প্রক্রিয়ার পরিবর্তন ঘটিয়ে থাকে এবং পরিবর্তন করে থাকে আপনি
যদি ভিটামিন জাতীয় খাবার যেমন সবুজ শাকসবজি ব্রকলি টমেটো কমলা লেবু সহ আরো যত
ভিটামিন সি জাতীয় খাবার রয়েছে সবগুলো খাবেন তাহলে খুব দ্রুত মাসিক
হবে।
আরো পড়ুনঃ কাঠবাদামের উপকারিতা - কাঠবাদামের ক্ষতিকর দিক
পেঁপে -- দ্রুত মাসিক হওয়ার জন্য পেঁপে অনেক উপকারী একটি খাবার পেঁপে খেলে আপনার শরীরের ক্যারোটিনন ইস্ট্রোজেন উদ্দীপিত হয়ে থাকে আর সেজন্য খুব
তাড়াতাড়ি মাসিক হয়। তাই দ্রুত মাসিক হওয়াতে চাইলে পেঁপে খাবেন।
নিয়মিত সহবাস -- দ্রুত মাসিক হওয়ার জন্য নিয়মিত সহবাস করা
প্রয়োজন হয়তো অনেকে ভাবছেন এটা কি আসলেই বা অনেকেই হয়তো অবাক হচ্ছেন। তবে
অবাক হওয়ার কিছু নাই যদি নিয়মিত সহবাস করতে পারেন তাহলে আপনার শরীরের বিভিন্ন
রকমের হরমোনের উৎপত্তি বেশি হয়ে যাবে এতে করে খুব তাড়াতাড়ি মাসিক
হবে।
চিন্তামুক্ত থাকা -- অনেক সময় অনেক মহিলা অতিরিক্ত চিন্তার মধ্যে
থাকে আর এই অতিরিক্ত চিন্তার ফলে মাসিক বন্ধ হয়ে যেতে পারে অথবা দ্রুত মাসিক না
হতে পারে। তাই তাড়াতাড়ি বা দ্রুত মাসিক হওয়াতে চাইলে অতিরিক্ত চিন্তা
থেকে মুক্ত থাকতে হবে। যদি অতিরিক্ত চিন্তা মুক্ত থাকা যায় তাহলে মাসিক
তাড়াতাড়ি হবে।
ঘৃতকুমারী -- ঘৃতকুমারী আপনারা সবাই চিনে থাকেন যে তাকে এলোভেরা
নামেও অনেকে বলে থাকে। ঘৃতকুমারী মাসিক দ্রুত হওয়ার জন্য অনেক উপকারী একটি জিনিস
ঘৃতকুমারীর ভিতর থাকা যে সাদা অংশগুলো রয়েছে সেগুলো সুন্দর করে বের করে নিবেন
তারপরে সেগুলোর সাথে মধু মিশিয়ে কয়েকদিন খাবেন তাহলে খুব ভালো তাড়াতাড়ি ফল
পাবেন।
গরম পানির সেক -- দ্রুত মাসিক হওয়ার জন্য গরম পানির সেক দিতে পারেন। অন্য কিছু না পারলেও এটা হয়তো নিশ্চয়ই সবাই পারবেন কোন একটা পাত্রে করে অথবা বোতলের মধ্যে গরম পানি নিয়ে সেই গরম পানি দিয়ে নিয়মিত কয়েকদিন সেক দিন তাহলে খুব দ্রুত মাসিক হবে।
দুই মাস মাসিক না হওয়ার কারণ
প্রত্যেকটি প্রাপ্তবয়স্ক মহিলা মাসিক হয়ে থাকে আর এতে করে তারা সন্তান
জন্মদানের ক্ষমতা লাভ করে। অনেকের ২৮ দিন পরে মাসিক হতে পারে আবার অনেকের ৩০
দিনের বেশি সময় লেগে যাই মাসিক হওয়ার জন্য তবে এটা স্বাভাবিক। আর মাসিক
হওয়ার পরে একেকজনের একেক রকম সময় ধরে থাকে যেমন অনেকের তিনদিন থাকে আবার অনেকের
পাঁচ দিন পর্যন্ত থাকে। এতে করে কোন সমস্যা থাকে না এটা অনেক ভালো।
কিন্তু অনেক মহিলা রয়েছে যাদের বিভিন্ন কারণে দুই মাস পার হয়ে গেলেও মাসিক হয় না কিন্তু সবাই হয়তো জানে না যে দুই মাস মাসিক না হওয়ার কারণ। কয়েকটি কারণে মাসিক বন্ধ হয়ে যেতে পারে এবং দুই মাস অথবা তার চেয়ে বেশি সময়ও মাসিক না হতে পারে দুই মাস মাসিক না হওয়ার কারণ এর ভেতর কয়েকটি হলো।
১। কোন মহিলার যদি হঠাৎ করে ওজন অতিরিক্ত বেশি বৃদ্ধি পেয়ে যায় তাহলে মাসিক বন্ধ হয়ে যেতে পারে অথবা দুই মাসের বেশি সময় ধরে মাসিক না হতে পারে।
২। দুই মাস মাসিক না হওয়ার আরো একটি কারণ হলো অতিরিক্ত স্টেস অর্থাৎ মানসিক চাপের মধ্যে থাকা। কোন মহিলা যদি অতিরিক্ত মানসিক চাপের মধ্যে থাকে তাহলে এতে করে হরমোনের বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দেয় আর তার ফলে মাসিক হয় না।
আরো পড়ুনঃ রক্তশূন্যতা দূর করার ১০ টি উপায় - শরীর রক্ত কম হওয়ার লক্ষণ
৩। দুই মাস মাসিক না হওয়ার কারণ এর মধ্যে আরেকটি হলো কোন মহিলার যদি জরায়ুতে টিউমার বা কোন রকমের সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে এতে করে মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়া সম্ভাবনা থাকে।
৪। অনেক মহিলা রয়েছে জন্মনিরোধক এর জন্য বিভিন্ন রকম পদ্ধতি গ্রহণ করে থাকে আর বিভিন্ন রকম পদ্ধতি গ্রহণ করার ফলে অনেক সময় মহিলাদের মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে বা হয়ে যায়।
৫। আবার কোন মহিলার যদি হঠাৎ করে অতিরিক্ত ওজন কমে যায় তাহলে এতে করেও মাসিক বন্ধ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং দুই মাস ধরে মাসিক নাও হতে পারে এই কারণে।
৬। অনেক মহিলা রয়েছে বিভিন্ন রকম রোগের জন্য চিকিৎসা গ্রহণ করে থাকে আর অতিরিক্ত চিকিৎসা গ্রহণ এবং বিভিন্ন রকম ঔষধ অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়ার ফলে এটা শরীরের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে এতে করে মাসিক বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
পিরিয়ডের লক্ষণ বনাম গর্ভাবস্থার লক্ষণ
মেয়েরা গর্ভবতী হোক বা পিরিয়ড হোক দুইটারই কিছু লক্ষণ রয়েছে। পিরিয়ডের
লক্ষণ এবং গর্ভাবস্থার লক্ষণ ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। তাই আপনার জানা
প্রয়োজন পিরিয়ডের লক্ষণ কি আর গর্ভাবস্থার লক্ষণ কি জেনে নিন পিরিয়ডের লক্ষণ
বনাম গর্ভাবস্থার লক্ষণ।
পিরিয়ডের প্রাথমিক কিছু লক্ষণ হলোঃ
যখন কোন মহিলার পিরিয়ড হয় তখন সে সময় অতিরিক্ত ক্লান্ত লাগে। এবং পিরিয়ডের
আরেকটি লক্ষণ হল মেজাজ এর পরিবর্তন হয়ে থাকে ওই সময় মেজাজ অনেক খারাপ
থাকে। কারণ মাসিকের সময় হরমোনের বিভিন্ন রকম পরিবর্তন হয়ে থাকি আর এতে করে
মেজাজ খিটখিটে হয়ে থাকে যার ফলে ওই সময় অনেক মহিলা খারাপ আচরণ
করে। পিরিয়ডের আরেকটি লক্ষণ হল অতিরিক্ত মাথা যন্ত্রণা এবং পেটে যন্ত্রণা
করে থাকে।
গর্ভাবস্থার প্রাথমিক কিছু লক্ষণ হলোঃ
গর্ভাবস্থায় প্রথম একটি লক্ষণ হলো মাসিক মিস যাওয়া। যদি কোন মহিলা মাসিক মিস দেয় তাহলে এটি হতে পারে গর্ভধারণের একটি লক্ষণ। গর্ভাবস্থার আরেকটি লক্ষণ হলো বমি বমি ভাব হওয়া এবং বমি হওয়া। গর্ভাবস্থার আরো লক্ষণ হলো মেজাজ এর পরিবর্তন খাবারের পরিবর্তন স্তনের বিভিন্ন রকম পরিবর্তন।
এবং গর্ভাবস্থার আরেকটি প্রাথমিক লক্ষণ হল ঘন ঘন প্রসাবের চাপ লাগ। এই লক্ষণ গুলো
যদি কোন বিবাহিত মহিলার দেখতে পান তাহলে ডাক্তারের কাছে গিয়ে পরীক্ষা করে
দেখবেন যে মেয়েটি গর্ভধারণ করেছে কিনা। কারণ গর্ভাবস্থায় এই লক্ষণ গুলো দেখা
দেয়।
মাসিক বন্ধ হওয়ার লক্ষণ
কোন মহিলার মাসিক বন্ধ হওয়ার আগে কিছু লক্ষণ দেখা দিয়ে থাকে কিন্তু সেই লক্ষণ গুলো সম্পর্কে না জানার জন্য হয়তো অনেকেই বুঝতে পারে না যে এই লক্ষণগুলো মাসিক বন্ধ হওয়ার লক্ষণ। মাসিক বন্ধ হওয়ার লক্ষণ গুলো হলো।
মাসিক বন্ধ হওয়ার লক্ষণ এর মধ্যে প্রথমটি হল মাথা ব্যথা করা পেট ব্যথা করা এবং পিঠ ব্যথা করা সেই সাথে মাথার চুল পড়ে যাওয়া। স্তনের পরিবর্তন এবং মাসিক বন্ধ হওয়ার লক্ষণের মধ্যে আরেকটি হলো অনেক সময় দৃষ্টি পরিবর্তন হয়ে থাকে মেজাজ এর পরিবর্তন হয়ে থাকে। এগুলোই মূলত মাসিক বন্ধ হওয়ার লক্ষণ।
সহবাসের পর মাসিক না হলে করণীয়
আপনি যদি একজন বিবাহিত মহিলা হয়ে থাকেন আর সহবাসের পরে যদি আপনার মাসিক না হয় তাহলে প্রেগনেন্সি টেস্ট করা প্রয়োজন কারণ আপনি যদি সহবাসের পরে গর্ভধারণ করেন তাহলে এতে করে আপনার মাসিক বন্ধ হয়ে যাবে তাই সহবাসের পরে আপনার যদি মাসিক বন্ধ হয়ে যায় তাহলে আপনার নিশ্চিত হওয়ার জন্য কি কারণে মাসিক হচ্ছে না সেজন্য প্রেগনেন্সি টেস্ট করার প্রয়োজন।
কারণ আপনি প্রেগনেন্সি টেস্ট করালে বুঝতে পারবেন যে আপনি গর্ভধারণ করেছেন কিনা। যদি গর্ভধারণ করেন তাহলে তো কোনো রকম সমস্যা নেই আর যদি গর্ভধারণ না করেন তারপরও যদি মাসিক বন্ধ হয়ে যায় তাহলে এটা অনেক খারাপ।
তাই বলবো সহবাসের পর মাসিক না হলে করণীয় কাজ হল প্রেগনেন্সি টেস্ট করা যদি আপনি গর্ভবতী না হন এবং মাসিক বন্ধ হয়ে যায় তাহলে তখন সেটার দ্রুত চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারবেন।
মাসিক না হলে ঔষধ - মাসিক হওয়ার ট্যাবলেট এর নাম
মাসিক না হলে কি বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে কিনা আপনারা ইতিমধ্যে খুব ভালোভাবে জানতে পেরেছেন। কিন্তু অনেক মহিলা রয়েছেন যাদের নিয়মিত মাসিক হয় না বা মাসিক বন্ধ হয়ে যায় হঠাৎ করে তাই তখন তারা অনেক চিন্তিত হয়ে পড়ে এবং তারা চিন্তা করে মাসিক না হলে ঔষধ রয়েছে সেই ঔষধ খাওয়ার কথা। তাই ইন্টারনেটে সার্চ দিয়ে থাকে মাসিক না হলে ঔষধ এবং মাসিক হওয়ার ট্যাবলেট এর নাম।
তবে আপনাকে একটা কথা বলতে চাই আপনার যদি মাসিক না হয় তাহলে মাসিক না হলে ঔষধ খাওয়া একেবারে ঠিক হবে না কারণ এই ঔষধ গুলোর মধ্যে থাকে অনেক রকম পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া যার ফলে আপনার আরো ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
আরো পড়ুনঃ ক্যালসিয়াম যুক্ত খাবার তালিকা - ক্যালসিয়াম যুক্ত ফল
তাই আপনাকে বলব মাসিক না হলে ঔষধ না খেয়ে কিছু ঘরোয়া উপায় যেগুলো উপরের অংশে বলে দিয়েছি সেগুলো মেনে চলতে পারেন তাহলেই আপনার মাসিক হবে। তারপরেও যদি জানতে চান মাসিক না হলে ঔষধ এর নাম কি তাহলে জেনে নিন কয়েকটি ওষুধের নাম যেগুলো অনেক কার্যকরী মাসিক হওয়ার জন্য।
মাসিক না হলে ঔষধ কোন স্থায়ী সমাধান নয় তারপরেও মাসিক না হলে Normens নামের এই ট্যাবলেট বা এই ঔষধ কি খেতে পারেন। তবে এই ওষুধটি খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের সাথে পরামর্শ গ্রহণ করে নিবেন ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া।
ইন্টারনেটে যে কোন ঔষধের নাম দেখে নিজের থেকে কিনে খাওয়ার চেষ্টা করবেন না এতে করে আরো বেশি ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর এখানে আমরা শুধু আপনাদের সচেতনতার উদ্দেশ্যে বলে থাকি কখনো এগুলো ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া খাবেন না। আশা করছি জানতে পারলেন মাসিক না হলে ঔষধ বা মাসিক হওয়ার ট্যাবলেট এর নাম কি?
মাসিক না হলে কি সমস্যা হয়
মাসিক নিয়মিত হওয়া ভালো এতে করে সন্তান জন্ম দানের বা গর্ভধারণের সম্ভাবনা বেশি থাকে কিন্তু যদি কোন বিবাহিত মহিলার মাসিক নিয়মিত না হয় অথবা মাসিক বন্ধ হয়ে যায় তাহলে এতে করে সেই মহিলার গর্ভধারণের সম্ভাবনা কমে যায়।
যা একজন মহিলার জন্য অনেক খারাপ। মাসিক না হলে কি সমস্যা হয় তা হল কোন মহিলা যদি সন্তান নিতে চাই এবং গর্ভধারণ করতে চাই তখন মাসিক না হওয়ার কারণে গর্ভধারণ করতে পারে না। এটা হল মূল সমস্যা মাসিক না হলে।
মাসিক বন্ধ হলে কি করতে হবে
বিভিন্ন কারণে মাসিক বন্ধ হয়ে যেতে পারে যেমন মাসিক না হলে কি বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে কিনা এই অংশে আপনারা জানতে পেরেছেন যদি কোন মহিলা গর্ভধারণ করে তাহলে মাসিক বন্ধ হয়ে যেতে পারে আর মাসিক বন্ধ হয়ে গেলে সর্বপ্রথম একজন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী পরীক্ষা করে দেখার প্রয়োজন যে মেয়েটি গর্ভধারণ করেছে কিনা।
যদি মেয়েটির গর্ভধারণ করে তাহলে কোন রকম সমস্যা নেই কিন্তু গর্ভধারণ ছাড়া যদি মাসিক বন্ধ হয়ে যায় তাহলে এটা একটি চিন্তার বিষয় তাই গর্ভধারণ ছাড়া যদি মাসিক বন্ধ হয়ে যায় তাহলে বেশি বেশি শাকসবজি জাতীয় খাবার খাওয়ার প্রয়োজন। এবং বেশি বেশি ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খাওয়া প্রয়োজন।
এছাড়াও যদি কোন মহিলার মাসিক বন্ধ হয়ে যায় তাহলে করণীয় কাজ হল নিয়মিত সহবাস করা।মাসিক বন্ধ হয়ে গেলে আদা চা খেতে পারেন এতে করে খুব দ্রুত মাসিক হবে। মাসিক বন্ধ হয়ে গেলে এই সকল কাজ করুন তাহলে খুব ভালো ফলাফল পাবেন আশা করি।
মাসিক না হলে কি বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে - মাসিক না হলে ঔষধঃ শেষ কথা
আজকের আর্টিকেল থেকে আপনারা জানতে পারলেন মাসিক না হলে কি বাচ্চা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে কিনা দ্রুত মাসিক হওয়ার উপায় দুই মাস মাসিক না হওয়ার কারণ পিরিয়ডের লক্ষণ বনাম গর্ভাবস্থার লক্ষণ মাসিক বন্ধ হওয়ার লক্ষণ সহবাসের পর মাসিক না হলে করণীয় মাসিক না হলে ঔষধ মাসিক হওয়ার ট্যাবলেট এর নাম মাসিক না হলে কি সমস্যা হয় মাসিক বন্ধ হলে কি করতে হবে এ সকল বিষয়ে।
তারপরও যদি এই বিষয়ে আরো কিছু জানার থাকে তাহলে কমেন্ট করে আমাদের জানাতে পারেন এবং পরবর্তীতে কি সম্পর্কে জানতে চান সেটাও কমেন্ট করে জানাতে পারেন। এবং এরকম আরো তথ্যমূলক আর্টিকেল নিয়মিত পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ফলো করুন ধন্যবাদ।