ব্রণের দাগ দূর করার সেরা ১১ টি উপায় - ব্রণের দাগ দূর করার ক্রিম
পেজ সূচিপত্রঃ ব্রণের দাগ দূর করার উপায় - ব্রণের দাগ দূর করার ক্রিম
- ব্রণের দাগ দূর করার উপায় - ব্রণের দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায়
- ৭ দিনে ব্রণ দূর করার উপায়
- ব্রণের দাগ দূর করার ক্রিম - ব্রণের কালো দাগ দূর করার ক্রিম
- তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার উপায়
- ব্রণের গর্ত দূর করার ক্রিম
- ব্রণের দাগ দূর করার ঔষধের নাম
- ব্রণের দাগ দূর করার উপায় - ব্রণের দাগ দূর করার ক্রিমঃ শেষ কথা
ব্রণের দাগ দূর করার উপায় - ব্রণের দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায়
বিশেষ করে মধ্যবয়সী ছেলে মেয়েদের মুখে বেশি ব্রণ বের হয়ে থাকে যা মুখের এবং ত্বক উজ্জ্বলতা নষ্ট করে দেয়। মুখে ব্রণ বের হওয়ার পরে তা যদিও এমনিতে ভালো হয়ে যায় কিন্তু ব্রণ ভালো হয়ে গেলেও ব্রনের দাগ থেকে যায় যা কালো কালো হয়ে মুখের মধ্যে ফুটে উঠে এতে করে মুখ দেখতে অনেকটা খারাপ লাগে।সেজন্য আপনার মুখের ত্বকে যদি ব্রনের দাগ থাকে তাহলে কিছু ঘরোয়া উপায়ের মাধ্যমে মুখের ব্রণের দাগ দূর করতে পারবেন। তাহলে জেনে নিন ব্রণের দাগ দূর করার উপায় বা ব্রণের দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায় গুলো।
ব্রণের দাগ দূর করার উপায় গুলো হলোঃ
- হলুদ
- কমলালেবুর খোসা
- নারকেল তেল
- এলোভেরা
- বাতাবি লেবু
- মুলতানি মাটি
- ক্যাস্টর অয়েল
- শসার রস
- বেকিং সোডা
- ডিমের সাদা অংশ
- চন্দন কাঠের গুড়া
হলুদ - হলুদ কে আমরা মসলা হিসেবে ব্যবহার করে থাকি কিন্তু এই হলুদের রয়েছে
অনেক ঔষধি গুণ হলুদ অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করে সেজন্য আপনার মুখে যদি ব্রনের
দাগ থাকে তাহলে ব্রণের দাগ ভালো করার জন্য এক চামচ পরিমাণ হলুদ এবং এক চামচ
পরিমাণ বাতাবি লেবুর রস একসাথে দিয়ে সুন্দরভাবে মিশিয়ে ব্রনের দাগের উপর ৩০
মিনিট লাগিয়ে রাখুন তারপরে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে কয়েকদিন ব্যবহার করলে
ব্রণের দাগ দূর হয়ে যাবে।
আরো পড়ুনঃ মুখের কালো দাগ দূর করার উপায় - মুখের দাগ দূর করার ক্রিম
কমলালেবুর খোসা - আমরা সবাই কমলা খেয়ে থাকি কারণ কমলার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। তবে আপনার যদি মুখে ব্রনের দাগ থাকে তাহলে কমলালেবুর খোসার মাধ্যমে তা ভালো করতে পারেন। প্রথমে একটি কমলালেবুর খোসা নিবেন এবং সেটা রোদে দিয়ে শুকাবেন। শুকানো হয়ে গেলে সেটা সুন্দরভাবে পিষে নিয়ে মধুর সাথে মিশিয়ে ব্রনের কালো দাগের উপর লাগাবেন।
নারকেল তেল - নারকেল তেল ত্বকের কালো দাগ দূর করতে অনেক ভালো কাজ করে। কারণ নারকেল তেলের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন কে এবং আরো রয়েছে ভিটামিন এ এবং নারকেল তেলকে বলা হয় প্রাকৃতিক এন্টিব্যাকটেরিয়াল সেজন্য যদি আপনার ব্রণের দাগের উপর নারকেল তেল লাগিয়ে রাখতে পারেন তাহলে ব্রণের দাগ ভালো হয়ে যাবে।
এলোভেরা - ব্রণের দাগ দূর করার উপায় এর ভেতরে আরও একটি উপায় হল এলোভেরা বা ঘৃতকুমারী।ব্রণের দাগ দূর করার জন্য এলোভেরা নিন এবং ব্রনের দাগের মধ্যে অর্থাৎ মুখের মধ্যে মেখে দিন। যদি রাতের বেলা দিয়ে সারারাত রেখে দিতে পারেন তাহলে সবচেয়ে ভালো ফলাফল পাবেন।
বাতাবি লেবু - আমরা জানি বাতাবি লেবু টক হয়ে থাকে আর যে সকল ফল টক
সেগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি সেজন্য বাতাবি লেবু যে কোন রকম
কালো দাগ এবং ব্রনের কালো দাগ দূর করতে অনেক বেশি কার্যকরী। ব্রণের দাগ দূর করার
জন্য বাতাবি লেবুর রস বের করে নিন এবং সেই রস তুলার মাধ্যমে ব্রণের কালো দাগের
উপর লাগিয়ে দিন। এভাবে কিছুক্ষণ রাখার পরে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তবে
মনে রাখবেন লাগাতে গিয়ে মুখের মধ্যে অতিরিক্ত ঘষাঘষি করবেন না।
মুলতানি মাটি - ব্রণের দাগ দূর করার উপায় এর ভেতর আরো একটি ভালো উপায় হল মুলতানি মাটি।যদি মুলতানি মাটির ফেসপ্যাক তৈরি করে ব্রণের কালো দাগের উপর লাগান এবং এভাবে কয়েকদিন নিয়মিত ব্যবহার করলে ব্রনের কালো দাগ দূর হয়ে যাবে।
ক্যাস্টর অয়েল - ব্রণের কালো দাগ দূর করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন
খাঁটি ক্যাস্টর অয়েল।ক্যাস্টর অয়েলের মধ্যে রয়েছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড
এবং আরো রয়েছে ভিটামিন সি যা ব্রণের কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে। তবে
কাস্টর অয়েল কিনার আগে ভালো করে যাচাই করে নিবেন খাঁটি কিনা।
শসার রস - অনেকের ত্বক অতিরিক্ত তৈলাক্ত হয়ে থাকে এতে করে একটু
রোদের মধ্যে গেলে ত্বকের কালার চেঞ্জ হয়ে যায়। সেজন্য কারো যদি মুখে ব্রনের দাগ
থাকে এবং ত্বক অতিরিক্ত তৈলাক্ত হয় তাহলে শসার রস তৈরি করে সেগুলো ত্বকে
লাগাবেন।
বেকিং সোডা - বেকিং সোডা যেটাকে আমরা খাবার সোডা বলে থাকি। এই বেকিং
সোডা ত্বকের বিভিন্ন রকম দাগ দূর করতে সাহায্য করে তেমনি ব্রনের দাগ দূর করার
জন্য বেকিং সোডা অনেক কার্যকরী ব্রণের দাগ দূর করার জন্য হালকা পরিমাণ ব্রেকিং
সোডা নিবেন এবং পানির সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিবেন এবং তারপরে
ব্রণের কালো দাগের উপর লাগাবেন। কিছুক্ষণ লাগিয়ে রাখার পরে পানি দিয়ে
ধুয়ে ফেলবেন। এভাবে কয়েকদিন ব্যবহার করলে ব্রণের কালো দাগ ভালো হয়ে
যাবে।
আরো পড়ুনঃ
জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি কোনটা ভালো - প্রাকৃতিক জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি
ডিমের সাদা অংশ - ব্রণের দাগ দূর করার উপায় এর ভেতর আরো একটি কার্যকরী উপায় হল ডিমের সাদা অংশ। একটি ডিম নিয়ে সেটি ভাঙবেন ভাঙার পরে কুসুম আলাদা করে বাদ দিবেন এবং যে সাদা অংশ গুলো থাকে সেগুলো মুখের ব্রণের দাগের ওপর লাগাবেন। ৩০ মিনিট রাখার পরে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন। এভাবে নিয়মিত কয়েকদিন ডিমের সাদা অংশ ব্রণের কালো দাগের উপর লাগালে ব্রণের কালো দাগ ভালো হয়ে যাবে।
চন্দন কাঠের গুড়া - ব্রণের কালো দাগ দূর করার জন্য চন্দন কাঠের গুড়া দিয়ে পেস্ট তৈরি করে ব্রণের কালো দাগের উপর লাগাতে হবে তাহলে ব্রণের কালো দাগ দূর হয়ে যাবে। ব্রণের কালো দাগ দূর করার জন্য হালকা পরিমাণ চন্দন কাঠের গুড়া এবং তার সাথে লেবুর রস এবং হালকা পরিমাণ গোলাপ জল মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে ব্রণের কালো দাগের উপর লাগাবেন। কিছুক্ষণ লাগিয়ে রাখার পরে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন।
৭ দিনে ব্রণ দূর করার উপায়
৭ দিনে ব্রণ দূর করার উপায় উপরের অংশে যেগুলো বলা হয়েছে সেগুলো নিয়ম যদি আপনি সাত দিন পর্যন্ত নিয়মিত মেনে সেগুলো মুখে ব্যবহার করতে পারেন তাহলে সাত দিনের মধ্যেই আপনার ব্রণ ও ব্রনের দাগ ভালো হয়ে যাবে।
সাত দিনে ব্রণ দূর করার জন্য মুখে ব্যবহার করবেন কাঁচা হলুদের পেস্ট, কমলালেবুর খোসার পেস্ট, এলোভেরা বা ঘৃতকুমারী, বাতাবি লেবুর রস, মুলতানি মাটির ফেসপ্যাক, খাঁটি ক্যাস্টর অয়েল, ডিমের সাদা অংশ, শসার রস এগুলো যদি নিয়মিত ৭ দিন ব্রনের হবেউপর ব্যবহার করতে পারেন তাহলে সাত দিনের মধ্যে ব্রণ ভালো হয়ে যাবে।
ব্রণের দাগ দূর করার ক্রিম - ব্রণের কালো দাগ দূর করার ক্রিম
ঘরোয়া উপায় বাদে যদি ব্রণের দাগ দূর করার ক্রিম ব্যবহার করার মাধ্যমে ব্রণের কালো দাগ দূর করতে চান তাহলে সেটাও করতে পারেন। ব্রণের কালো দাগ দূর করার জন্য বাজারে অনেক ধরনের ব্রণের দাগ দূর করার ক্রিম পাওয়া যায় তবে সবগুলো ব্যবহার করা যাবে না। যেগুলো ব্রণের দাগ দূর করার ভালো ক্রিম সেগুলোর নাম জেনে নিন এবং ব্রনের দাগ দূর করার জন্য এই ক্রিমগুলো ব্যবহার করতে পারেন।
- Nova Clear Acne Cream
- Acne Star
- Betnovet
তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার উপায়
অনেকের ত্বকে একটু রোদ লাগলে তেলতেলে হয়ে যায় অতিরিক্ত তৈলাক্ত ত্বকে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ করে এতে করে মুখে ব্রণ বের হয়। তবে কিছু ঘরোয়া উপায়ে তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ ভালো করতে পারেন উপায় গুলো হলো।
তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন বাতাবি লেবুর রস কারণ বাতাবি লেবুর রসে রয়েছে সাইট্রিক এসিড যা ত্বকের তেল শোষণ করে থাকে এবং মুখের ব্রণ ভালো করতে বাতাবি লেবু অনেক কার্যকরী।
আরো পড়ুনঃ বগলের গন্ধ কমানোর উপায় - বগলের ঘাম কমানোর উপায়
এছাড়াও টক টই এবং খাটি মধুর মাধ্যমে তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করতে পারেন। তাই আপনার ত্বক যদি তৈলাক্ত হয়ে থাকে এবং মুখে ব্রণ বের হয় তাহলে এইগুলো উপাদান ব্যবহার করুন।
ব্রণের গর্ত দূর করার ক্রিম
ব্রণের গর্ত দূর করার জন্য অনেকে ক্রিম এর নাম জানতে চান। আপনার মুখে যদি ব্রণের গর্ত হয়ে থাকে তাহলে ব্রণের গর্ত দূর করার ক্রিম ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই ওপরে ব্রণের দাগ দূর করার উপায় যেগুলো বলেছি সেগুলো ব্যবহার করলেই ব্রণের গর্ত দূর হয়ে যাবে।
আর ব্রণের গর্ত দূর করার জন্য সবসময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকবেন তাহলে এমনিতেই ব্রণের গর্ত দূর হয়ে যাবে। এগুলো করেও যদি না হয় তাহলে একজন ভালো ডাক্তারের পরামর্শ নিন তবুও আগে নিজে নিজেই বিভিন্ন রকম ক্রিম ব্যবহার করবেন না কারণ এগুলো ক্রিম ব্যবহার করার ফলে মুখের আরো ক্ষতি হতে পারে।
ব্রণের দাগ দূর করার ঔষধের নাম
ব্রণের দাগ দূর করার জন্য ঘরোয়া উপায় বেস্ট কারণ ঘরোয়া ভাবে ব্রণের দাগ দূর করার জন্য যে সকল ঘরোয়া উপায় রয়েছে এগুলো ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বকের কোনো ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই কিন্তু ব্রণের দাগ দূর করার জন্য ঔষধ খেলে সেটা ত্বকের জন্য আরো ক্ষতিকর হতে পারে।
তারপরেও যারা ব্রণের দাগ দূর করার জন্য ঔষধ খেতে চান তারা Benzoyel Peroxide 2.5% Cream অথবা Adapaline 0.1% (Fona Plus) এই ঔষধ গুলো খেতে পারেন। ঔষধ খেতে আগেই না করেছি তারপরও যদি খান তাহলে আগে ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করবেন।
ব্রণের দাগ দূর করার উপায় - ব্রণের দাগ দূর করার ক্রিমঃ শেষ কথা
ব্রণের দাগ দূর করার উপায় ব্রণের দাগ দূর করার ক্রিম ৭ দিনে ব্রণ দূর করার উপায় ব্রণের দাগ দূর করার ক্রি ব্রণের কালো দাগ দূর করার ক্রিম এর নাম তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার উপায় ব্রণের গর্ত দূর করার ক্রিম এবং ব্রণের দাগ দূর করার ঔষধের নাম কি এ সকল বিষয়ে আজকের আর্টিকেলে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করছি সকল বিষয়ে ভালোভাবে জানতে পেরেছেন এবং এগুলো যদি মেনে চলতে পারেন তাহলে খুব সহজেই ব্রণের দাগ দূর করতে পারবেন।
এই বিষয়ে যদি আরো কিছু জানার থাকে তাহলে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদের জানাতে পারেন। এবং এরকম আরো তথ্যমূলক আর্টিকেল পড়তে আমাদের JONOPRIYO BLOG ওয়েবসাইট নিয়মিত ফলো করুন। এতক্ষণ আমাদের সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।